সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জ ধুপাজান চলতি নদীতে হাইকোর্ট এর নিশেধাজ্ঞা অমান্য করে অদৃশ্য অসাধু কর্মকর্তাদের ইশারায় চলে প্রতিনিয়ত বালু পাথর উত্তোলনের মহোৎসব।

জানা যায় ধুপাজান চলতি নদীর তীরে বালাকান্দা বাজারের উত্তর পাশ হইতে সৈয়দপুর, সাহেব নগর, ডলুরা , কাইয়েরগাওঁ, আদাংসহ বিভিন্ন জায়গায় চলে পাড় কাটা ও বালু উত্তোলনের মহোৎসব। আর এসব বালু পাথর উত্তেলনের কাজ চলে প্রতিনিয়ত দিনে রাতে । নদীতে থাকা প্রশাসনের দায়িত্ববান পুলিশ কর্মচারীদের চোখ ফাকিঁ দিয়ে।

কিভাবে বালু উত্তেলন করে নৌকা বাহির করা যায় সেসব নিয়েই কাজ করেন তারা। এছাড়াও ঐ সমস্ত অবৈধ বালু উত্তেলন কারীদের সাথে রফাদফা করে থাকেন কিছু অসাধু অদৃশ্য কর্মকর্তা এমনটির তথ্য এখন মানুষের মুখে মুখে ফুঠে উঠছে।

এছাড়াও প্রতিদিন রাতে এবং প্রকাশ্য দিবালোকে নৌকা লোড হয় এসময় কোথায় থাকেন পুলিশের সদস্যরা এমন প্রশ্ন সাধারণ মানুষের। জানা যায় বালু পাথর সিন্ডিকেট চক্রটি সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের চোখ ফাকিঁ দিয়ে অদৃশ্য শক্তির কালো চায়ায় চালিয়ে যাচ্ছে তাদের অবৈধ বালু পাথর উত্তোলনের কাজ। পুলিশ সুপার অবৈধ বালু পাথর উত্তোলনে শুরু থেকেই কঠোর অবস্থানে থেকে পরিবেশ রক্ষা করা এবং বালু পাথর উত্তোলন বন্ধে প্রতি নিয়ত নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন ।

তবে ডিউটিতে থাকা দায়িত্ববান অদৃশ্য শক্তির নাম ভাঙ্গিয়ে মিথ্যা সংবাদের মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা একটি চক্র। যার ফলে অবৈধ বালু পাথর চুরা কারবারিরা হয়ে উঠছে লাগামহীন ব্যাপরোয়া। কিছু অসাধু পুলিশ সদস্যকে তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য ব্যবহার করছে বলে জানান অনেকে। যা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরের আড়ালে রয়েছে বলে ব্যবসায়ীদের দাবী। এছাড়াও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কিছু কর্মকর্তাদের অবস্থা হয়ে দাড়িয়েছে এমনটি ।

অবৈধ বালু পাথর উত্তোলন বন্ধ না করে কিছু দিন পর পর লোক দেখানো মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে বালু পাথর উত্তোলন কারীদের জড়িমানা করে ব্যবসাা করার সুযোগ করে দিচ্ছেন । যার কারনে এখন অবৈধ বালু পাথর উত্তেলনকারী সদস্যরা বুঝে গেছে যে ২লক্ষ টাকার বালু উত্তোলন করলে মোবাইল কোর্ট জড়িমানা করবে ২০থেকে ৩০ হাজার টাকা। অন্য দিকে তাদের লাভ হবে প্রায় দেড় থেকে ২ লক্ষ টাকা।

যার কারনে ঐ চক্রটি বালু উত্তোলন করে বড় বড় বলগেট নৌকা লোড করে বসে থাকে মোবাইলকোর্ট পরিচালনার আশায়। কবে মোবাইল কোর্ট আসবে আর তাদের দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকা ইনকাম হবে সেই আশায়। আর এমনি ভাবে চলছে প্রতিদিন বালু পাথর উত্তোলনের মহোৎসব।

ফলে লাভবান হচ্ছে অবৈধ বালু পাথর খেকোঁড়া আর বিপাকে পড়েছে প্রকৃত সাধারণ বালু ব্যবসায়ীরা। যারা বারকি শ্রমিকদের কাছ থেকে বিভিন্ন জায়গা থেকে ঋৃণ ও ধারদেনা করে নদীর পাড়ে বালু সংগ্রহ করে রেখেছেন। নদী বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীদের বারটা বাজলেও ধুমধাম করে অদৃশ্য শক্তিতে অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাচ্ছেন কিছু অসাধু বালু পাথর উত্তোলণ কারী ব্যক্তিরা ও একটি অদৃশ্য শক্তি।

অন্য দিকে বারকী শ্রমিকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা সাধারণ ব্যবসায়ীদের আহাজারিতে আকাশ বাতাস বারি হয়ে উঠছে সামনে বৃষ্টিপাত শুরু হবে। ব্যবসায়ীদের ডাম্পের বালু ইতি মধ্যে নদী গর্ভে বিলিন হওয়ার পথে রয়েছে যার জন্য অনেকে জেলাপ্রশাসক ও পুলিশ মহোদয়ের কাছে তাদের আর্তনাথ জানিয়েছেন আবেদনের মাধ্যমে।

অন্য দিকে প্রতিদিন অবৈধ বালু উত্তোলণ কারীরা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের রমরমা ব্যবসা। অদৃশ্য শক্তিতে চুরা কারবারীদের নৌকা আদান প্রদানের জন্য কোন সমস্যা হয়না এ নিয়ে সাধারণ ব্যবসায়ীদের মাঝে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

ধুপাজান চলতি নদীর পার্শবর্তী নদীর পাড়ে থাকা অনেক ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপ করে এমনটির তথ্য ফুটে উঠে। সাধারণ ব্যবসায়ীরা জানান আমরা ঋৃণ দেনা করে মানুষের কাছ থেকে টাকা ধার এনে নদী চলা কালীন সময়ে বারকি শ্রমিকদের কাছ থেকে ছোট ছোট নৌকা দিয়ে বালু স্টক করে নদীর পড়ে ডাম্পিং করে রেখেছি। । কিন্তু নদীতে নৌকা চলাচল বন্ধ থাকার কারনে আমাদের বালু এখন নদীর গর্ভে বিলীন হওয়ার পথে রয়েছে।

জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মহোদয় যদি সাধারণ ব্যবসায়ীদের কথা বিবেচনা করে কিছু দিনের জন্য ব্যবসায়ীদের ডাম্পিং করা বালু গুলো বাহির করার জন্য বলগেট/কার্গো জাহাজ/ নৌকা চলাচল করার সুযোগ করে দিতেন তাহলে অনেক ব্যবসায়ীরা তাদের বিরাট ক্ষয়ক্ষতির লোকসান থেকে রক্ষা পেতেন ।

সাধারন ব্যবসায়ীরা আশাবাদী যে প্রশাসন ব্যবসায়ীদের স্টক করা বালুগুলো নদীর গর্ভে বিলিন হওয়ার পূর্বে কার্গো জাহাজ/বলগেট যুগে বাহির করার সুযোগ দিবেন । পাশা পাশি অবৈধ বালু পাথর উত্তোলন বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করবেন এমনটির আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।